"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
অনিন্দিতা,
কী ভীষণ অভিমানী ছিলে তুমি!
তোমার ভাবনাগুলো হৃদয়ের উষ্ণতায় গভীর ঘুমে মগ্ন ছিল রাতের
পর রাত। চিরকুটের প্রতিটি পংক্তিমালা সিঞ্চিত রেখেছিলাম বিশুদ্ধ
জোছনার পলল নির্যাসে। ফাগুনে ফাগুনে সতেরোটি বসন্ত ঝরে
গেলেও স্মৃতির নকশীকাঁথা আজও অপেক্ষার মসৃন সূতোয় বুননে
অটুট। তুমি কী আজও যত্ন করে উঠিয়ে রেখেছো আমার লেখা
সেই চিঠিগুলো? তুমি যেগুলো নিয়ে ঠাট্টা করে বলতে, আমার
এলোমেলো ভাবনার পাগল-প্রলাপ অনূঢ়া প্রমের পান্ডুলিপি। আছে
কী সেই বসন্তদিনে হৃদয়ে দোল খাওয়া হারিয়ে যাওয়া কথামালা?
নীল নীল কষ্ট আর বেদনা নিয়ে অজানা এক আশ্রয়ে ছুটে যাওয়া
ভালবাসার সেই মনটা।
অষ্ফুট বাসনা নিয়ে বৃষ্টিতে না ভেজা কদম
ফুলের মতো ভালবাসাও কী শুকিয়ে যায়? নীড়হারা আহত পাখীর
মতো মানুষের মনও কী তেমনি ডানা ঝাপটায়? চঞ্চল হৃদয় কী
স্রোতহারা নদীর মতো কখনো মোহনায় আটকে যায়? পাহাড়ের
গা বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণা কী কখনো পথ হারায়? যদি হারায় তবে
তার পথ কেন হয়না কোন পথের প্রান্তে কিংবা লোকালয়ে? এসবই
আমার সাজানো কথামালা। তোমাকে লেখা আমার সেই চিঠির কোন
কথাই মনে পড়ে না। আজ যদি তা তোমার কাছে থেকে থাকে তবে
ছাপানো যেত এই একুশের বই মেলায়। অখ্যাত এক লেখকের জন্ম
হলেও হতে পারতো এই ধরণীর ধূলায়। ভয় পেয়োনা।
চিঠির সর্বস্বত্ব
দাবী করছি না মোটেও। দাবীর প্রশ্নই ওঠেনা। অখ্যাত কোন মানুষের
লেখা প্রেমপত্রের কপিরাইট স্বত্ব কখনো বিক্রি হয়না। ওগুলো আজ তোমার
সম্পত্তি। যেমন আমার সম্পত্তি তোমার লেখা নেতিয়ে পরা কিছু চিরকুট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।