আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনিন্দিতা: বলতে ইচ্ছে হয় - ৩,৪

"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"

৩ বলতে ইচ্ছে হয়- ভাল আছো অনিন্দিতা! চোখে কাজল পরোনি আজ! সেই যে একদিন- কলা ভবনের ক্লাশ শেষে তুমি হেঁটে আসতে বাস ষ্টপেজের দিকে। আমি যে করেই হোক ঠিক পৌঁছে যেতাম তোমার আগে, দিনের শেষ দেখাটা দেখবো বলে। লীনা, রুবি, তাহেরা আরও অন্য সবার সাথে তুমি উঠে যেতে বাসে- সবার শেষে। আমি বহুবার দেখেছি তুমি দাঁড়িয়ে আছো বাসের ভেতর রাজ্যের বিরক্তি মুখে নিয়ে। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকেরা বসে আছেন দিব্যি সামনের সিট জুড়ে।

ওনারা ওভাবেই বসে থাকতেন নির্বিকার চিত্তে। একদিন দাঁতে দাঁত চেপে প্রতীজ্ঞা করলাম - যে করেই হোক একদিন তোমাকে আমি আলাদা করবোই ঐ বাস থেকে। ৪ বলতে ইচ্ছে হয়- ভাল আছো অনিন্দিতা! চুলে বেণী করোনি আজ! সেই যে একদিন - দারুণ হট্টগোল ভার্সিটির ক্যাম্পাস জুড়ে। আন্দোলনে মুখর চারিদিক। আমি আর কিছু ছাত্র মিলে হঠাৎ থামিয়ে দিলাম ভার্সিটির সব বাস।

কিছুতেই ছাড়বেনা বাস আমাদের দাবী পূরণ না হলে। সবাই শুয়ে পড়লাম মাটিতে। দাবী ছিল একটাই, মেয়েদের আলাদা বাস চাই। আন্দোলন সফল হলো। নাখোশ হলেন পুরো শিক্ষক সমাজ।

রোষানলে পড়ে গেলাম আমি। দূর থেকে এক নজর দেখলাম তোমাকে। এদিক ওদিক তাকিয়ে উঠে গেলে বাসের ভেতর। মনে হলো চোখদুটো যেন আমাকেই খুঁজছে। ভাগ্য আমার লেখা হয়ে গ্যাছে ততক্ষণে।

সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হলো আমাকে বহিষ্কার করা হউক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।