কমিউনিটি এওয়ার্ড
আজ ২৮ মার্চ। বিকেল ৫টা। তাজুল ভাই ও আমি গিয়ে উপস্থিত হলাম নিউহাম টাউন হলে। ওখানে আজ নিউহাম ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের উদ্যোগে কমিউনিটি এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান। সংস্থার সভাপতি জনাব লাকি মিয়া দাওয়াত করেছেন।
যথাসময় উপস্থিত হলাম। অনেক পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা হলো। ব্যান্ডের টাস টাস শব্দে কান ঝালাপালা হবার যোগাড়। হল ভর্তি মানুষ। শুরু হলো অনুষ্ঠান।
লাকি মিয়া মাইকে ঘোষণা করলেন, অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবেন রুচি বেগম।
পর্দার ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন শাড়ি পরা অভার স্মার্ট এক তরুণী। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বললেন, লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান্ট! প্রথমেই আমি আমার নামে একটা সংশোধনী আনতে চাই। আমার নাম রুচি বেগম না। আমি সৈয়দা সায়মা আহমেদ।
হল জুড়ে হাততালি শুরু হলো। আমি বুঝতে পারলাম না এই হাততালি কী জন্যে? লাকি মিয়ার ভুলের জন্যে নাকি সায়মা বেগমের সংশোধনীর জন্যে। অনুষ্ঠানের আয়োজক লাকি মিয়া। উপস্থাপিকাকে তো তার না চেনার কারণ নেই। তাহলে নামে ভুল হবে কেন? আমার ক্ষীণ সন্দেহ হলো, রুচি বেগম তার ডাক নাম হয়ে থাকতে পারে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কয়েক মিনিটের জন্য মিউজিক বন্ধ হলো। কুরআন তেলাওয়াত করলেন হাফিজ আব্দুল ওয়াদুদ। স্বাগত বক্তব্য দিলেন লাকি মিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হলেন, স্টিফেন টিম্স(Stephen timms) এমপি। বিশেষ অতিথি নিউহামের মেয়র স্যার রবিন ওয়াল্স।
প্রথমেই প্রধান অতিথির বক্তব্য হল। উনার অন্য প্রোগ্রাম আছে। তিনি বক্তব্য দিয়ে চলে গেলেন।
শুরু হলো এওয়ার্ড প্রদান। এওয়ার্ড বিতরণ করলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার ডক্টর এম. সাঈদুর রহমান।
বলাহলো এওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রত্যেকেই দু’মিনিট করে বক্তব্য দেবেন। দেখাগেলো ১০ মিনিটের আগে কেউই মাইক ছাড়ছেন না। তাদের পেটের ভেতরে অনেক বক্তব্য জট পাকিয়ে বসে আছে। বের করার সুযোগ পাওয়া যায় না। আজ পাওয়া গেছে।
অবশ্য দর্শক শ্রোতাও ঔষধ জানে। দেখা গেল কেউ বক্তৃতা একটু লম্বা করলেই হল জুড়ে হাততালি শুরু হয়ে যাচ্ছে। এর এই হাততালির অর্থ, ধন্যবাদ আপনাকে। এবার দয়া করে থামুন। ভদ্রভাবে বিদায় জানানো আর কি?
এওয়ার্ড প্রদান শেষ হলো।
এবারে শুরু হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আগেই মিউজিকের যে ব্যবহার দেখেছি, মূল অনুষ্ঠানের অবস্থা যে কী হবে কল্পনা করে নিতে সমস্যা হলো না। তাজুল ভাই ও আমি চলে আসলাম।
সন্ধ্যা ৮ টায় আমরা গেলাম হোয়াটচ্যাপেল খেদমত ইন্টারন্যাশনালের অফিসে। আসন্ন রমযানে টেলিভিশনে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের জন্য লাইভ ফান্ড রাইজিং এর প্রোগ্রাম সেটেল করার জন্য এই মিটিং।
আমি মিটিং এর অংশ নই। তাজুল ভাই’র সঙ্গে আমার যাওয়া। সেই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মাওঃ নুরে আলম হামিদি, মাওঃ ফয়েজ আহমদ, মাওঃ হুসাইন আহমদ, সালেহ আহমদ হামিদী, আলহাজ্ব আতাউর রহমান, খতীব তাজুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, নাজির আহমদ সহ আরো অনেকে।
রাত ১২ টায় বাসায় ফিরে যথারীতি মেইল চেক করলাম। ইনবক্সে ৪টি নতুন মেইল পাওয়া গেল।
একটি পাটিয়েছে খালিক চাজি, একটি নোমান বিন আরমান। একটি ভাতিজা মামুন এবং অন্যটি অপরিচিত কেউ।
...চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।