আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের ব্যর্থতা



বিডিআর বিদ্রোহ কিংবা নাশকতার পর থেকে পিলখানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। মানসিক চাপে থেকে বিডিআর জাওয়ান আত্মহত্যা করছে, জিজ্ঞাসাবাদ করবার সময় কেউ কেউ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে। বিভিন্ন মাত্রার অঘাত নিয়ে হাসপাতালে আসছে বিডিআর জাওয়ানেরা। এরই ভেতরে দুটি উপকারাগার স্থাপিত হয়েছে পিলখানার ভেতরে এবং সেখানে নিবির জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা নিয়মতান্ত্রিক নির্যাতন চলছে। বাংলাদেশ অন্ধ , এইসব নির্যাতন বিষয়ে সরকারের কোনো অবস্থান নেই, বরং বাণিজ্যমন্ত্রীর উচ্ছৃঙ্খল বানীগুচ্ছ বাজারে ছড়িয়ে আছে।

পোষা তোতাপাখীর মতো তিনি আউড়ে যাচ্ছেন জেএমবি, জঙ্গী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্ঠতার বক্তব্য। তার এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ সংশোধনের কোনো নির্দেশ আপাতত আসে নি। এবং একই সাথে বাংলাদেশের উদ্ভট সাংবাদিকতারও কিছু দায় রয়েছে। প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে তাকে পছন্দ করবার একটা কারণ তার সামরিক পশ্চাৎপট। সেনাকর্মকর্তা হিসেবে তার জীবনযাপন হয়তো সামরিক বাহিনীর কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা বাড়ায় তবে একজন সমন্বয়কারী হিসেবে তার যোগ্যতার প্রমাণ আপাতত রাখতে পারেন নি ফারুক খান।

প্রাথমিক সাফল্যের পর থেকে সব গুবলেট হয়ে আছে। অযথাই প্রধানমন্ত্রীর বাসার সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবং এটার একটা কারণ দর্শানো হয়েছে জঙ্গী হামলা। তবে আদতে বাংলাদেশের জঙ্গী দল যেমন মাত্রায় সক্রিয় তাতে তাদের ৪ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্ঠনী ভাঙবার ক্ষমতা নেই। নেপথ্যে আলাদা জল ঘোলা হচ্ছে, সেই ঘোলা জলে কে কি শিকার করছে সেটা আমরা জানবো না।

আমাদের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন সেনাছাউনিতে অনেক সত্যই পথ হারায়, আমাদের সেনাছাউনিগুলোতে সত্য অপঘাতে মৃত্যুবরণ করে। আবারও আশাবাদী হয়ে উঠতে চাই, বিডিআর পিলখানায় সামরিক বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিয়মিত নির্যাতনে যেনো আর কোনো প্রাণহানী না ঘটে, আমাদের রাজধানীর ভেতরে কোথাও নিয়মতান্ত্রিক নিমমৃত্যুর ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এবং সবাই উদাসীন হয়ে বসে আছে, এই অসম্ভব ব্যর্থতাই পীড়াদায়ক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।