আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
কালকে আমার উপর দিয়া স্টীম রোলার গেছে, মেড ইন চায়নার স্টিম রোলার না, পুরা মেড ইন সুইডেন, কিন্তু বাবা-মায়ের এখনও কিছু দোয়া অবশিস্ট থাকায় জানে বাচিয়া আছি। গতকাল্য আমি মোট ৫৭টা কল পাইয়াছি যার মধ্যে ব্যাক করিয়াছি ৪০খানা। বাসায় যাই ৯:৩৪টা। যদিও আমার রোজ নামচা অনুযায়ী আমি বাসায় যাই রাত ১টা-২টা, মাগার কোনো অফিসিয়াল কাজে এইটাই আমার রেকর্ড।
তাই আইজ একটা ডিসিশন নিয়াই ফালাইলাম! ব্লগে প্রকাশ করুম না ডিসিশন খানা, এইখানে অনেক নাম না জানা কলিগ বলগায়!(বাঁচাওওও)
গতকাল এক উদ্ভট ঘটনা ঘটিল। আমি আমার কাজের ঠেলায় এরকমই বেতাল অবস্হা, কে যেনো কাছে এসে ডাক দিলো, "রনি সাহেব আপনি কি করেন?" আমি উত্তরে বইলা বসলাম, "আমি তো তারে দেখি নাই!" এহেন উত্তরে আমি বুঝিতে পারিলাম আমার অবস্হা সঙ্গীন, মাগনা কফি খাওনের টাইম হইছে। গেলাম কফি খাইতে। গিয়া দেখি আরেক মেয়ে কলিগ চা খাচ্ছে। আমাকে দেখে বললো,"কি খবর?"
-বিদিক দশা, মইরা আছি না বাইচা আছি সেইটাই তো বুঝতাছি না!
- সেটাই তো দেখছি! কাজের এত চাপ যে নিজের দিকে তাকান না কেন?
-নিজেরে দেখনের কি আছে? সেই পুরানা বান্দর চেহারা!
-তাই বলে কি নিজের জীপারটাও লাগাবেন না?
এটা বলেই ফিক করে হেসে দিলো, আর আমি খেয়াল করলাম আমার জীপার খোলা।
কফি খাওয়া চাঙ্গে উঠলো। (খাইয়ালামু)
সামহোয়ারে কোনো কিছু পুস্টাইতেও পারলাম না। এমন সময় ঢাকার বাইরে থেকে আমার এক পরিচিত ফোন করলো। মেয়েটা আমার জুনিয়র মাগার আমার আগে ঢুকে আমার চেয়ে কয়েক ধাপ উপরে উইঠা গেছে। তার সাথে আকাইম্মা ফোনালাপ।
সে শুরু করলো:
-কি খবর আপনার?
-কোনো খবর নাই, কি জন্য কল দিলেন?
-আর বইলেন না এক আজব সমস্যায় পড়েছি, কোনো কুল কিনারা পাচ্ছি না!
-আমার তার চেয়ে খারাপ অবস্হা, আমার হেড অফিসের সাটারও বন্ধ রাখার জো নাই!
-মানে!
-মানে বুঝার টাইম নাই, সমস্যাটা কি ?
- একটা ধাধা, কিন্তু কোনো সমাধান করতে পারছি না।
আমার মাথার টেম্পারেচার ডিম পোচ করার মতো তাওয়া গরম হইয়া গেলো। নিজেরে সামলাইয়া বললাম," আমি ধাধায় আরো কাচা। "
-আচ্ছা, শুনেন, একট পিপড়া একটা হোন্ডা চালাচ্ছিলো!
-পিপড়া হোন্ডা চালায়? কেমনে কি?
-আর শুনেন না! এইটা ধাধা! যাই হোক পিপড়াটা হেলমেট পড়ে ছিলো।
-কি? পিপড়া হেলমেট পড়ছে? দুনিয়ার মানুষ কই গেলো?
-আরে শুনেনই না, রাস্তার অপর পাশ দিয়ে একটা হাতি আসছিলো।
হঠাত করলো এক্সিডেন্ট। হাতি দুরে গিয়ে ছিটকে পড়লো।
-পিপড়া যদি হেলমেট পইড়া পাজেরো জীপ চালাইতে পাড়ে তাইলে কাওয়াসাকি বাজাজের গুতা খাইয়া হাতি যে আকাশে ওরে নাই এটাই তো অনেক!
- (একটু তীক্ষ্ম কন্ঠে)আপনার কি শুনতে খুব কস্ট হচ্ছে?
-আরে না না, বলেন (আমি আবার এই ব্যাপারে বেশ সেনসিটিভ!)
এদিকে আমার কাজ কৈলাসে উঠেছে। বসে দুইবার কল দিছে। আবার একটু নিম্নচাপও শুরু হইছে।
শুরু হলো:
-এ্যাক্সিডেন্টের আঘাতে হাতিটা ছিটকে পড়লো এক পিপড়ার ঝাকের উপর,খুব ইন্জুরড হলো। হোন্ডাটা দুমড়ে মুচড়ে গেল। পরে সেই পিপড়ার ঝাক তাকে হাসপাতেলে নিয়ে আসলো। তাকে বেশ কয়েক ব্যাগ রক্তও দেয়া হলো। হাতিটার যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখল তার পাশের বেডে হোন্ডায় চড়া পিপড়াটা শুয়ে আছে।
হাতির মন প্রশ্ন জাগল:
১) পিপড়া যদি আহত না হয়ে থাকে তাহলে ও পাশের বেডে কেন?
২) হাতি নিজে আহত হলো কিন্তু পিপড়াটার কিছু হলো না কেন?
৩) হাতিকে এত রক্ত কে দিলো?
এরকম বিটকাইলা ধাধার উত্তর দেয়ার ইচ্ছা আমার মোটেও ছিলো না। ধাধাটা শুনার পর মন চাইলো নিজের মাতাহর চুল ছিড়ি। এদিকে গন্ডায় গন্ডায় কাজ। তাই কোনো মতে আন্দাজে আন্দাজে উত্তর দিলাম।
আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো ধাধার উত্তর সঠিক হয়েছে।
এই বলে ও ফোনটা রেখে দিলো। আমি টাসকি খাইয়া এক মিনিট চিন্তা করলাম জীবনে প্রথম একটা ধাধার উত্তর পারলাম, যেই ধাধাটা আমি জীবনে কাউকে বললে হয়ত সে আমাকে পাগল না হইলে বললে বেইন ওয়াশড!
পুরা বিটাকাইলা দিন!
আচ্ছা আপনারা কি উত্তর দিতেন যদি আমার জায়গায় হতেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।