এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৯টি চলচ্চিত্র। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ডিসেম্বর মাসে কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি এবং পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। সে ক্ষেত্রে ৪৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ব্যবসাসফল হয়েছে মাত্র ছয়টি, মোটামুটি ব্যবসা করছে চারটি এবং আলোচনায় এসেছে সাতটি চলচ্চিত্র।
মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে_ লাভ ইন জঙ্গল, ভালোবাসার বন্ধন, টেলিভিশন, জোর করে ভালোবাসা হয় না, দেবদাস, অন্যরকম ভালোবাসা, জীবন নদীর তীরে, আত্দঘাতক, শিরি ফরহাদ, মাটির পিঞ্জিরা, অন্তর্ধান, কষ্ট আমার দুনিয়া, সেই তুমি অনামিকা, দেহরক্ষী, শিখণ্ডী কথা, জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার, জটিল প্রেম, এই তো ভালোবাসা, নিষ্পাপ মুন্না, রোমিও ২০১৩, পোড়ামন, তোমার মাঝে আমি, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, মাই নেম ইজ খান, ভালোবাসা আজকাল, এর বেশি ভালোবাসা যায় না, এক পায়ে নূপুর, কাজলের দিনরাত্রি, ইভটিজিং, ঢাকা টু বোম্বে, মৃত্তিকামায়া, কিছু আশা কিছু ভালোবাসা, মন তোর জন্য পাগল, প্রেম প্রেম পাগলামি, রূপ গাওয়াল, তবুও ভালোবাসি, বাংলার পাগলু, কুমারী মা, ফুল এন্ড ফাইন্যাল, প্রেমিক নাম্বার ওয়ান, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী, কি প্রেম দেখাইলা, অনিশ্চিত যাত্রা, একই বৃত্তে, আয়না কাহিনী, ভালোবাসা জিন্দাবাদ, উধাও, ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম এবং তোমারই আছি তোমারই থাকবো।
এই ৪৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে প্রদর্শক সমিতি এবং প্রেক্ষাগৃহ সূত্র মতে, ব্যবসাসফল হয়েছে মাত্র ছয়টি চলচ্চিত্র। এগুলো হলো_ নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, পোড়ামন, মাই নেজ ইজ খান, নিষ্পাপ মুন্না, দেহরক্ষী ও পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী। মোটামুটি ব্যবসা করেছে চারটি চলচ্চিত্র। এগুলো হচ্ছে- অন্যরকম ভালোবাসা, ভালোবাসা জিন্দাবাদ, ভালোবাসা আজকাল ও ইভটিজিং।
এছাড়া মুক্তির আগে থেকে আলোচনায় ও দর্শক আগ্রহে ছিল সাতটি চলচ্চিত্র। কিন্তু এগুলো দর্শক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি এবং ব্যবসা সফল হয়নি। এসব চলচ্চিত্র হচ্ছে- দেবদাস, রূপ গাওয়াল, মাটির পিঞ্জিরা, শিখণ্ডী কথা, কাজলের দিনরাত্রি, মৃত্তিকা মায়া ও আয়না কাহিনী।
প্রদর্শক সমিতি ও প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের কথায় ২০১৩ সাল চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক দিক ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরে রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৫০-এর ঘর ছাড়াতো। অবরোধের কারণে পুরো ডিসেম্বর নতুন চলচ্চিত্রবিহীন থাকছে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় চলচ্চিত্র মুক্তি বন্ধ রয়েছে। না হলে মুক্তি পেত_ কি দারুণ দেখতে, তোমার কাছে ঋণী, আকাশ কত দূরে, দাবাং, সংগ্রাম, ক্ষোভ, হরিজন, এক নম্বর আসামি, দুর্ধর্ষ রাজা, গর্জে উঠো জনতাসহ আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র। গত কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্র মুক্তির সংখ্যা ৫০-এর ঘর ছুঁতে পারছে না। এদিক দিয়ে এ বছর ছিল সম্ভাবনার বছর। অন্যদিকে সমিতি ও প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা বলছে চলচ্চিত্র মুক্তি বাড়লেও মান কমেছে। কারণ ডিজিটালের সুযোগ প্রায় দুুই ডজন টেলিফিল্মকে চলচ্চিত্র বলে চালানোর চেষ্টা করে প্রযোজক ও প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে নির্মাতারা। এই প্রবণতা রোধ করা উচিত। না হলে চলচ্চিত্রের সম্ভাবনার দুয়ার আবারও বন্ধ হয়ে যাবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।