নওগাঁর রানীনগরে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল অপারেশনে নাহিদা আক্তার সুমি (২১) নামে এক প্রসূতি মারা গেছেন। ঘটনার পর ওই হাসপাতালের মালিক চিকিৎসক আবদুল বারী ও অন্যান্য স্টাফরা পালিয়ে গেছেন। হাসপাতালের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
উপজেলার আতাইকুলা গ্রামের প্রবাসী জামিদ আলীর স্ত্রী নাহিদা আক্তার সুমির প্রসব ব্যথা শুরু হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার স্বজনরা বেতগাড়ী বাজারে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। রাত ৮টার দিকে রোগীর অপারেশন শুরু হয়। হাসপাতালের নার্স এক নবজাতক পুত্রসন্তান স্বজনদের দেখিয়ে বলে প্রসূতি সম্পূর্ণ সুস্থ। দেড় ঘণ্টা পর বেডে আনা হবে। প্রসূতির মা ও ভাইকে তাড়াতাড়ি দুধের কৌটা নিয়ে আসার জন্য কৌশলে বাজারে পাঠিয়ে দিয়ে ভুয়া চিকিৎসক আবদুল বারী, ম্যানেজার জুয়েল, কর্মরত নার্স ও অন্যান্য স্টাফরা প্রসূতির লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। প্রসূতির মা আনোয়ারা বেগম দুধের কৌটা কিনে নিয়ে হাসপাতালে কাউকে না পেয়ে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে দেখেন, তার মেয়ে সুমির পেট কাটা ও হাত বাঁধা অবস্থায় নিথর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। নিহত সুমির ভাই আলমগীর বলেন, বড় ডাক্তারের নাম করে হাসপাতালের চিকিৎসক আবদুল বারী ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা ভুল অপারেশন করে আমার বোনকে হত্যা করেছে। রানীনগর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল-মাসউদ চৌধুরী জানান, এটা হত্যাকাণ্ড। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর বেতগাড়ী বাজার এলাকার কলিম উদ্দিনের একটি বাড়িভাড়া নিয়ে আবদুল বারী, তাপস মৃধা ও দেলোয়ার হোসেন যৌথভাবে ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নাম দিয়ে চিকিৎসা বাণিজ্য শুরু করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।