বিরোধী দলবিহীন এমন নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনলেন স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেশ কয়েকটি আসনে গতকাল নির্বাচন চলাকালে তারা এসব অভিযোগ আনেন। ফলে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বয়কট করতে বাধ্য হন সংশ্লিষ্ট আসনগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এদের মধ্যে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগে জানা যায়, মতিয়া চৌধুরী কেন্দ্রগুলোতে প্রভাব খাটিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন জোরপূর্বক বের করে দিয়ে সিল মেরে ভোট কাস্ট করেছেন নিজের পক্ষে। এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও নিজের পক্ষে সিল মেরে ব্যালট বাঙ্ ভর্তি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী ডা. ফরিদ আহমেদ নিজের ভোট দিতে গিয়ে দেখতে পান, অন্য কেউ তার ভোট দিয়ে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু আসনে প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোট-ডাকাতি করেছেন এমন অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর_
শেরপুর : শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে নিজের পক্ষে সিল মেরে ভোট কাস্ট করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। নকলা উপজেলার ৬৩টি কেন্দে র ৫০টিতে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সব এজেন্ট জোরপূর্বক কেন্দ থেকে বের করে দেন মতিয়া। এরপর নিজের পক্ষে সিল মেরে একের পর এক ব্যালট-বাঙ্ পূরণ করেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বদিউজ্জামন বাদশা। তিনি গতকাল বেলা ২টায় নকলা উপজেলা সদরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা দেন। বদিউজ্জামান বাদশা তার বক্তব্যে বলেন, নকলা উপজেলার ৬৩টি কেন্দে র ৫০টিতে মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপে তার সব এজেন্টকে জোরপূর্বক কেন্দ থেকে বের করে দিয়ে সিল মেরে নিজের পক্ষে ভোট কাস্ট করেছেন। শুধু তা-ই নয়, নিজের আনারস প্রতীকের সব এজেন্টকে আগের রাতে ভয়ভীতি দেখানো এবং অনেককে হাত-পা বেঁধে আটক রাখারও অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও ফল পাননি তিনি। তাই এমন প্রহসনের নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বলে তিনি ঘেষণা দেন।
পাবনা : ছেলে আশিক আল শামস রঞ্জন ও ভাই আবদুল বাতেনের সহায়তায় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বিভিন্ন কেন্দে ব্যাপক ভোটডাকাতি করেছেন বলে অভিযোগ এনেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাবনা-১ আসনের ৫২টি কেন্দে র ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন চেয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। গতকাল বেলা ৩টার দিকে সাঁথিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগে তিনি বলেন, ছেলে ও ভাইয়ের সহায়তায় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন কেন্দে ঢুকে সিল মেরে নিজের পক্ষে ভোট কাস্ট করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। তাকে সহায়তা করে প্রশাসন। এদিকে দুটি কেন্দে ভোট কারচুপি করার সময় পুলিশ বাধা দিয়ে দুই রাউন্ড ফাকা গুলি করে এবং ৯৮টি ব্যালট বাতিল করে বলে জানা গেছে। সাঁথিয়া উপজেলার সামান্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দে র প্রিসাইডিং অফিসার মারুফ বিল্লাহ জানান, বেলা দেড়টার দিকে কিছু লোক ভোটার সেজে কেন্দে প্রবেশ করে ভোট কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষে বাগ্বিতণ্ডা ও কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পুলিশ। অন্যদিকে সাঁথিয়ার শহীদনগর কেন্দে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে রঞ্জন ও ব্যক্তিগত সহকারী আনিসুজ্জামান দোলনের নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক ভোট সিল মেরে ব্যালট বাঙ্ েঢোকানোর অভিযোগ করা হয়েছে। ষাটিয়াকোলো ইবতেদায়ি মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, মাদ্রাসার দুটি কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪৭৫টি ভোট কেটে ব্যালট বাঙ্ েঢুকিয়ে দিয়েছে নৌকা মার্কার সমর্থকরা। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি ইউএনওকে জানিয়েছেন। এদিকে বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দে আধ্যাপক আবু সাইয়িদের এজেন্ট রতন হোসেন বলেন, 'কেন্দ থেকে আমাদের বের করে দিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারী শফিকুল ইসলাম শফির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ব্যালট পেপার নিয়ে শামসুল হক টুকুর নৌকা প্রতীকে সিল মারেন।' এ ছাড়া মিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ঢুকে নৌকা প্রতীকে সিল মারেন বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
যশোর : ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ৪৮টি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন যশোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল ইসলামের পক্ষে তার ভাই প্রিন্স, চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও দেবাশীষের নেতৃত্বে শতাধিক ক্যাডার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৪৬টি কেন্দ্র দখল করে ৫৫ হাজার ভোট কেটে নেয়। এ সময় আমার এজেন্ট ও সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় তারা। এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জ : ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে জেলার দুটি আসন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের জাসদ মনোনীত প্রার্থী এ কে এম নাসিরুজ্জামান খান তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সুকুমার রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে ভোট কাপচুপির অভিযোগ এনে নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাগুফতা ইযাসমিন এমিলির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ।
ঝিনাইদহ : আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিজের পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়াদ্দার। গতকাল দুপুরে গাড়াগঞ্জ বাজারে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নিজের ভোট দিতে গিয়ে তার ভোট সম্পন্ন হয়ে গেছে দেখতে পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী ডা. ফরিদ আহমেদ। অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল এমন ঘটনার অবতারণা হয়। ঘটনাটি তিনি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. মুহম্মদ মোশাররফ হোসেনকে মোবাইলে জানান। তবে প্রতিকার না পেয়ে তাৎক্ষণিক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জেপি প্রার্থী। এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে নিজের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে দুপুরে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রার্থী কাজী মামুনুর রশিদ।
গাজীপুর (কাপাসিয়া) : প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সিমিন হোসেন রিমির বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, '১১৭টি কেন্দে র ২৫টিতে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তাই আমি আমার নির্বাচন প্রত্যাহার করে নিলাম।'
বরিশাল : বরিশালে পৃথক দুটি আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন দুই প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুসের বিরুদ্ধে কেন্দ দখল, জাল ভোট প্রদান, ব্যালট ছিনতাই, নিজ এজেন্টদের কেন্দ থেকে বের করে দেওয়া ও প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিসেস সাবিনা আক্তার। এর কয়েক ঘণ্টা পর একই অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু। উপজেলার খানপুরায় জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে টিপু বলেন, 'এই নির্বাচন থেকে রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। আর কোনো দিন কেউ যাতে এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচনে অংশ না নেন।'
ময়মনসিংহ : নির্বাচন বয়কট করলেন ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাদাত ইসলাম চৌধুরী। গতকাল বিকেলে নির্বাচন চলাকালে তিনি জেলা রিটার্নিং অফিসার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ফ্যাঙ্যোগে বয়কটের এ চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, '৯৮টি কেন্দে ভোটার উপস্থিতি বেশি দেখানোর নাম করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. এম আমান উল্লাহর নির্দেশে দলীয় কর্মীরা ব্যালট নিয়ে নিজেরাই নৌকার পক্ষে সিল মারছেন। প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েও প্রতিকার পাইনি। তাই লোক দেখানো ও তামাশার নির্বাচন বন্ধ করে ফলাফল স্থগিত রেখে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।' এদিকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে কেন্দ দখল ও নিজ এজেন্টদের মারধর করে ভোট কেন্দ থেকে বের করার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন আলম। তিনি অভিযোগ করেন, 'দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ৩০ থেকে ৪০টি কেন্দে মুজিবুর রহমান ফকিরের লোকজন জোর করে আমার এজেন্টদের মারধর করে বের করে ইচ্ছামতো ভোট দিচ্ছে।' অন্যদিকে একই আসনে মুজিবুর রহমান ফকিরের পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে আবু সাঈদ (৫০) দলীয় এক নেতাকে। পরে দলীয় লোকজন প্রভাব খাটিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। দুপুরে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের সিংজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালী : আ'লীগ প্রার্থী আয়েশা আলীর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, কেন্দ দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কট করেছেন নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ ীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আমির। গতকাল এক এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বয়কটের কথা জানান।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে ২২টি কেন্দে ভোট কারচুপি ও ৮টি কেন্দে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডক্টর মিজানুল হক। ভোট গ্রহণ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
নীলফামারী : বিভিন্ন কেন্দে ঢুকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার ও তার লোকজন ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মেরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে জাতীয় পার্টির দলীয় বর্তমান এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী।
কঙ্বাজার : কঙ্বাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নিবার্চন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী তাহা ইয়াহিয়া। দুপুরে টেকনাফে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে নিবার্চন বয়কটের ঘোষণা দেন তিনি। তিনি বলেন, কেন্দ গুলোতে বদির লোকজন প্রভাব খাটিয়ে একেকজন ৩০ থেকে ৪০টি ভোট দিয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।