সাভার ও নারায়ণগঞ্জে তৈরি পোষাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও শ্রম অফিস ঘেরাও করেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর_
সাভার : শ্রমিক ছাঁটাই ও মজুরি কম দেওয়ার প্রতিবাদে সাভার শিল্পাঞ্চলের দুটি কারখানায় বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। গতকাল সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের কাঠগড়া এলাকায় লুসাকা গ্রুপ ও মজিদপুর এলাকার গালিমপুর নিটিংয়ের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ জানায়, কাঠগড়া এলাকার লুসাকা গ্রুপের প্রিন্টিং সেকশনের শ্রমিকদের মধ্যে ৩৫ জনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাঁটাই করার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল কারখানায় এসে ছাঁটাইয়ের নোটিস দেখে বিক্ষোভ শুরু করে ওই কারখানার প্রিন্টিং সেকশনের শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে বিশমাইল-জিরাবো সড়কে নেমে আসে তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ওই কারখানাটির প্রিন্টিং সেকশনের উৎপাদন বন্ধ থাকে।
অন্যদিকে মজিদপুর এলাকার গালিমপুর নিটিংয়ে উৎপাদন বোনাস কম দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। সকালে কারখানায় গিয়ে প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা কারখানা থেকে বাইরে বের হয়ে আসতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শ্রমিকরা। আশুলিয়া শিল্প-পুলিশের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই কারখানা দুটির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় অবস্থিত রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা এ আর ওয়্যারের শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধি ও সরকার ঘোষিত মজুরি প্রদানের দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ করেছে। এ সময় শ্রমিকরা মিছিল ও পরে শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত আঞ্চলিক শ্রম দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। শ্রমিকরা জানান, কারখানায় অন্তত ৪০০ শ্রমিক কাজ করে। সরকার পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন নূ্যনতম ৫ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করলেও তাদের কারখানাতে সে আইন মানা হচ্ছে না। এ ছাড়া ওভার টাইমের টাকাও ঠিকমত প্রদান করা হয় না। এ ব্যাপারে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এর পরিচালক ও লেবার অ্যাফেয়ার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জিএম ফারুক জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।