ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগ নিয়ে বেপরোয়া ঘুষবাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি পদের বিপরীতে ৪/৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিয়ম না থাকলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আমীন তার নিজ কক্ষে বসে চাকরির মৌখিক পরীক্ষা ও অর্থবাণিজ্য করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, একযোগে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ঘুষবাণিজ্য করে এ নিয়োগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নামমাত্র মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে গতকাল নিয়োগ দেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কর্তৃত্ব থাকলেও তাদেরকে পাশ কাটিয়ে শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে ইউএনও নিজেই এই ঘুষবাণিজ্য করেছেন। অথচ সরকারি বিধি মোতাবেক ইউএনও এই নিয়োগের অনুমোদনকারী। নিয়োগ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিগণ হতাশ হয়ে জেলা প্রশাসক, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ব্রজেন্দ্র নাথ ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করে জানান, স্থানীয় স্বতন্ত্র এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকীর তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে ঘুষ নিলে এমপি সাহেব নিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আমিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ নিয়োগে কোনো ঘুষবাণিজ্য করা হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে আমার অফিসে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহা-পরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ব্রজেন্দ নাথ বিশ্বাসের নামে ঘুষবাণিজ্য করার অভিযোগ আসলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।