“হাওয়া মিঠাই”
“হাওয়া মিঠাই”
এইতো সেদিন পরাহ্ণে দেখা হলো,
কিছু আলাপচারিতায় পরিচয় মিলল।
দিনটি ছিল বোধহয় শুক্রবার। ।
কালো ওড়নায় ছিলো তোমার মাথা ঢাকা,
আঁকাবাঁকা সোনালি নকশায় ছিল সেটি আঁকা।
তারপর কপালে তোমার, একটি লালটিপ আবার।
।
পাদুকা-বিহীন চরণ, আলতা মাখা আস্তরণ,
যেন কোন সুদক্ষ শিল্পীর আল্পনার অনুশীলন।
মনে হলো নতুন নাক-ফোঁড়ানো তোমার। ।
তুমি কি যাবে নদীর ঔপার? আমি বললাম,
একটু পরে গেলে দোষ কি, আমিও না হয় গেলাম।
হোক না এক সন্ধার, মিষ্টি খেয়া-পারাপার। ।
তখন চাহনি তোমার ভীত-হরিণীর ন্যায়,
আজ বুঝি কেন, ঔতো প্রথম বাহিরে সাজ-বেলায়।
জীবনের এক নব অভিজ্ঞতা তোমার। ।
আর আমি হয়েছিলাম সিক্ত এক রক্তিম ভালোলাগায়,
এ হৃদয় আনন্দে ভরেছিল সেদিন কানায়-কানায়।
হয়েছিলো হৃদয় আমার, সাত-সমুদ্রের আকার। ।
আমার যাওয়া হলোনা শুধু তোমার মায়ায়,
যদি তোমার বদনখানি কিছুটা মলিন হয়।
তুমি একাই হলে নদী পার।
।
আজও ভুলিনি তোমায়, বলো ভোলা কি যায়?
কিন্তু বুঝিনা, কি খেলা প্রতিনিয়ত চলছে এ ধরায়।
আমি একলা এধার, আর শুধু তুমি নদীটির ঐ পার। ।
হাসান আল মাহমুদ
২৫/০৯/২০১২ (পূর্বাচাল)
সমাপ্তলগ্নঃ ০২:৫৮am ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।